Thursday, August 12, 2021

বিয়ের আগে পাত্র পক্ষের কাছে থেকে আসা মধুর প্রস্তাবগুলো


বিয়ের আগে পাত্র পক্ষের কাছে থেকে আসা সবচেয়ে মধুর আর আশাবাদী প্রস্তাবগুলো হচ্ছেঃ

* আপনারা চিন্তা করবেন না ও আমাদের মেয়ে হয়েই থাকবেই।
*আরেকটা প্রস্তাব থাকে যে হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই বিয়ের পরেও যতদূর পর্যন্ত পড়তে চায় পড়বে।
আমার অমুকও তো বিয়ের পর মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে।
*যখন খুশি তখনই চলে আসবে সামান্য দুরত্ব সমস্যা নেই প্রয়োজন পড়লে আমিই দিয়ে যাবো এ বাড়িতে।
*রান্না এখনকার কোনো মেয়েই খুব একটা পারে না তবে বিয়ের পর অবশ্যই শিখে যায়।
*আমাদের বাসায় তো তেমন কাজই নেই মা মেয়ে মিলে ঠিক সামলে নিবো।
*কোনো দেনা পাওনার বিষয় নেই।আমাদের পছন্দ হয়েছে।এটাই যথেষ্ট।
*বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে ব্যবহার টাই আসল।
*আমরা বাড়িতে বৌ নয় মেয়ে নিয়ে যাবো।
*ও চাইলে জবও করতে পারবে কোনো সমস্যা নেই।
তারপর দিন গড়ায় বিয়ের মাস ছয়েক পূর্ণ হয় আস্তে আস্তে তাদের সকল অভিযোগ পাহাড় গড়ায়।
সব মেয়ে এত কপাল করে জন্মায় না যে শ্বশুর শাশুড়ীর মেয়ে হতে পারে।
যে পর্যন্ত পড়েছো থাক অনেক হয়েছে চাকরী করে আমার ছেলেকে খাওয়াতে হবে না।
দুদিন পর পর বাবার বাড়ি বাবার বাড়ি যাবা করো না এখন এটাই তোমার সংসার তাছাড়া তুমি বাসায় গেলে আমার বাবুর খাবার দাবারে কষ্ট হয়ে যায়।
কি হাবিজাবি রান্না করো কোনো দিন লবণে পোড়া কোনোদিন ঝালে চূড়ান্ত সবজিও কাটতে পারো না মা কি কিছুই শিখায়নি?
সারাদিন কাজ শেষ করে একটু পড়তে বসলেই ডাক পড়ে বৌ মা একটু চা করো তো!
পাশের বাড়ির কোনো সঙ্গী আসলেই শুরু হয়ে যায় কিচ্ছু দেয়নি বাবুর শ্বশুর বাড়ি থেকে কিচ্ছু দেয়নি।
নেহাত বাবু পছন্দ করেছে নাহলে ওমন কালো মেয়ে ঘরে আনি নাকি।
হ্যাঁ এসব রোজকার ঘটনা।
রঙিন প্রতিশ্রুতি দিতে সবাই জানে কিন্তু রাখতে পারে ক'জন।
তবে প্রতিটি মেয়ের নিজের একটা পরিচয় দরকার।
অন্তত গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে বিয়ে করা উচিৎ।
(বিঃদ্রঃ সবার গল্প এক নয় তাই বলে কারো সাথে হয় না এমনও নয়।যাদের সাথে এসব হয় নি তারা নিসন্দেহে ভাগ্যবতী।তবে অনেক মেয়েপক্ষও কম যায় না রসালোভাবে মেয়ের গুণ প্রচার করে অথচ কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা)
লেখাঃস্মৃতিকথা দত্ত

No comments:

Post a Comment